Academy

রাশেদ একজন বেকার যুবক। তিনি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে ফসলের 'মৌসুম নির্ভরতা কাটিয়ে ওঠার জন্য ফসল উৎপাদনের বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। এ বছর তিনি আষাঢ় মাসে স্বচ্ছ পলিথিন দিয়ে বিশেষ কৌশলে ঘর তৈরি করে স্ট্রবেরি চাষ করেন। তিনি ১০০ টাকা দরে স্ট্রবেরি বিক্রি করে বেশি লাভ পেয়ে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হন।

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে রাশেদের কার্যক্রমের গুরুত্ব মূল্যায়ন করা (উচ্চতর দক্ষতা)

Created: 2 months ago | Updated: 2 months ago
Updated: 2 months ago
Ans :

উদ্দীপকে উল্লেখিত রাশেদ গ্রিন হাউজ কৌশলের মাধ্যমে স্ট্রবেরি চাষ করেন। তিনি স্ট্রবেরি বিক্রি করে বেশি লাভ পেয়ে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হন। নিচে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে রাশেদের কার্যক্রম অর্থাৎ গ্রিন হাউজ কৌশলটির গুরুত্ব মূল্যায়ন করা হলো-

ফসলের মৌসুম নির্ভরতা কাটিয়ে উঠার জন্য একটি আধুনিক কৌশল হলো গ্রিন হাউজ কৌশল। ফসলের জীবতাত্ত্বিক গুণাগুণ পরিবর্তন না করেই এ কৌশলে যে কোনো ফসল উৎপাদন করা যায়। এক্ষেত্রে উন্মুক্ত মাঠে বা উদ্যানে না করে গ্রিন হাউজে তা উৎপাদন করা যায়। অর্থাৎ বন্ধ ঘরে কৃত্রিম উপায়ে পর্যাপ্ত আলো, উত্তাপ, বায়ুর আর্দ্রতাসহ পরিবেশগত যাবতীয় উপাদান নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করা হয়।
পাশাপাশি প্রত্যেক উদ্ভিদের জন্য প্রয়োজনীয় সুষম পুষ্টি সরবরাহের যথাযথ ব্যবস্থা করা হয়। নিখুঁত আয়োজন ও পরিচালনা নিশ্চিত করতে পারলে প্রায় যে কোনো উদ্যান ফসল ঐ কৌশলে সম্ভব।
সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থা বলে ফসলকে রোগ বালাই থেকে রক্ষা করার খাতে ব্যয় প্রায় নেই। ফসলও হয় সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যসম্মত। আমাদের দেশে পরীক্ষামূলকভাবে এ পদ্ধতিতে ক্যাপসিকাম (মিষ্টি মরিচ), স্ট্রবেরি ও টমেটো উৎপাদন করা হয়েছে এবং দেখা গেছে যে লাভজনকভাবে এ কৌশল ব্যবহার করা যায়। অন্যদিকে বাংলাদেশ একটি স্বল্পোন্নত কৃষিপ্রধান দেশ। কৃষিই এদেশের মানুষের প্রধান জীবিকা। অথচ এদেশের কৃষি ব্যবস্থায় এখনো অনেক ক্ষেত্রে আধুনিকতার ছোয়া লাগে নি। এছাড়া বাংলাদেশের কৃষকরা বেশিরভাগই দরিদ্র ও অজ্ঞ। কিন্তু গ্রিন হাউজ কৌশল ব্যবহার করে বাংলাদেশের মতো দেশে অনেক বিশেষ উদ্যান ফসল উৎপদন করা যাবে।

সুতরাং উপরের আলোচনা হতে বুঝা যায় যে, ভবিষ্যতে বাংলাদেশে। ক্রমবর্ধমান মানুষের খাদ্য চাহিদা মেটানোর জন্য ফসল উৎপাদনে রাশেদের কার্যক্রমটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

2 months ago

কৃষি শিক্ষা

**'Provide valuable content and get rewarded! 🏆✨**
Contribute high-quality content, help learners grow, and earn for your efforts! 💡💰'
Content

Related Question

View More

কৃষিতে বিজ্ঞানীদের দুটি অবদান নিম্নরূপ
১. নিরলস গবেষণার মাধ্যমে নতুন নতুন প্রযুক্তি সংযোজন করেছেন।
২. মাটির ধরন বিবেচনা করে কোন অঞ্চলে কোন ফসলে কী মাত্রায় সার প্রয়োগ করা হবে সে বিষয়ে কৃষকদের নির্দেশনা প্রদান করেন।

কৃষিতে প্রতিনিয়ত যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন প্রযুক্তি। আর এসব প্রযুক্তি উদ্ভাবনে প্রতিনিয়ত কাজ করে চলছে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের গবেষকরা। তারা জলবায়ু, পরিবেশ, মাটি, পানি উৎপাদন পদ্ধতি এসব বিষয় বিবেচনায় এনে উচ্চতর গবেষণা করছেন। তাদের নিরলস গবেষণার ফলেই কৃষিতে যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন প্রযুক্তি।

বন্যা প্রতিরোধী ৪টি ধানের জাতের নাম হলো-
১. ব্রি ধান ২২,
৩. ব্রি ধান ৩৭,
২. ব্রি ধান ২৩,
৪. ব্রি ধান ৩৮।

গ্রামীণ সাংস্কৃতিক কাঠামোতে কৃষির ব্যাপক প্রভাব লক্ষ করা যায়। কৃষকের সাংস্কৃতিক জীবন ও জনমানুষের সাংস্কৃতিক ভাবনায় চমৎকার মেলবন্ধন লক্ষ করা যায়। যেমন- কৃষি সংক্রান্ত নানা বিষয়ে চারণ কবি খনার নানা মন্তব্য 'খনার বচন' নামে খ্যাত যা আমাদের সংস্কৃতিকে আরো সমৃদ্ধ করেছে।

ফসলের জন্য সারের মাত্রা নির্ধারণের শর্ত হলো-
১. পূর্ববর্তী ফসলে কোন মাত্রায় সার দেওয়া হয়েছে।
২. প্রয়োগকৃত সারের কোনগুলো নিঃশেষ হয়ে যায়

কৃত্রিম রাসায়নিক সারের উপর নির্ভরশীলতা কমানোর একটি উপায় হলো অণুজীব সার প্রয়োগ। এ ধরনের সার প্রয়োগে মাটির উর্বরতা বাড়ে, মাটিদ্ধ ফসফেট দ্রবীভূত হয়ে ফসলের গ্রহণোপযোগী হয়। সর্বোপরি ফসলের ফলন ও গুণগতমান বৃদ্ধি পায়।

Promotion
NEW SATT AI এখন আপনাকে সাহায্য করতে পারে।

Are you sure to start over?

Loading...